নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার চরে বসে মাদকের আখড়া। সন্ধ্যা নামতেই মটরসাইকেল কারগাড়ী সহ তরুন থেকে মধ্য বয়স্ক মাদক ব্যবসায়ীরা আখড়া জমাই চরে। মাদকের আখড়া চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। এভাবেই কুষ্টিয়া শহরের চরকুঠিপাড়া, চরআমলাপাড়া, চরথানাপাড়া, চরমিলপাড়ায় চলছে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের আখড়াখানা। আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের আর্শিবাদ থাকায় এইসব অবৈধ কর্মকান্ডের বাঁধা আসে না কোন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর বুক ঘেঁষে জেগে ওঠা চরের মধ্যে জটলা পাকিয়ে বিভিন্ন বয়সী তরুন তরুনীরা মাদক সেবনে ব্যস্ত। মাদকের সাথে সাথে চলছে জুয়া সহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ড। নিরাপত্তার খাতিরে নিজেরাই দিচ্ছেন পাহারা। দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় প্রশাসনের নজরদারি স্বাভাবিকভাবেই থাকে কম এ অঞ্চলে। সেই সুযোগে এই চার চরকে মাদকের আখড়াখানা বানিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মাঝে মাঝে প্রশাসন এই চরগুলোতে অভিযান চালালেও দুর্গমতার সুযোগ নিয়ে গা ঢাকা দেয় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা। এভাবেই কুষ্টিয়ার চার চরে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে মাদকের আখড়া।
এ বিষয়ে স্থানীয় যুবক করিম জানায়, প্রতিনিয়তই সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চরগুলোতে চলে মাদক সেবন ও বেচাকেনা। আমরা বহুবার তাদের ধরেছি। কিন্তু কোনভাবেই থামানো যায় না। তিনি আরো জানান, পুলিশ আসলেই বিভিন্ন দিক দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা জানান, দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই চরে চলে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের আড্ডাখানা।
তিনি আরো বলেন, চর সহ চরের আশেপাশে ছোট ছোট ছাপড়া ঘরে চলে হিরোইন, ইয়াবা, টাপেন্টা বিক্রয় ও সেবনের মতো অবৈধ কর্মকান্ড। স্থানীয় প্রভাবশালী অনেক বড় ভাইয়ের সহযোগীতা থাকায় অবাধে চলছে এ ধরনের কর্মকান্ড।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খাইয়রুল আলম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের দাবী চরাঞ্চলে প্রশাসনের নজরদারী বৃদ্ধি করে বন্ধ করা হোক এ সকল মাদকের আখড়াখানা।
Leave a Reply