বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলীতে বিষাক্ত নেশা জাতীয় মদ্যপানে শহিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে।
জানা গেছে উপজেলার পশ্চিম মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামে শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ২টার দিকে এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিদর্শন করেন। বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য পানে মৃত শহিদুল ইসলাম পশ্চিম মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এ ছাড়া বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য (মদ বা এ্যালকাহল) পানে হাসেন আলী ও মুলা মিয়া নামের ২জন অসুস্থ হয়ে গোপনে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য (মদ বা এ্যালকাহল) বিক্রি করার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোলাবাড়ী বন্দরের বিউটি হোমিও হল এর মালিক ডাঃ বাহানুল আলম বাদল (৫৪) কে পুলিশ আটক করেছে। আটককৃত ডাঃ বাহানুল আলম বাদল পূর্ব মহিষাবান গ্রামের মৃত হাফিজার রহমান খোকা’র ছেলে।
এ দিকে মৃত শহিদুল ইসলামের পরিবার জানিয়েছে, বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য (মদ বা এ্যালকাহল) পানে নয়, হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে শহিদুল ইসলাম মারা গেছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, যেহেতু নেশা জাতীয় দ্রব্য (মদ বা এ্যালকাহল) পানে মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সে জন্য লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রির্পোট আসার পর বিষয়টি পরিস্কার হওয়া যাবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মহিষাবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম ও মহিষাবান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম মোল্লাসহ আরো বেশ কয়েক জনের সাথে কথা বললে তাঁরা জানিয়েছেন বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য (মদ বা এ্যালকাহল) পানেই শহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা শুনেছি।
Leave a Reply