বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলায় করোনায় শ্রমিক ও অর্থ সংকটের কারণে জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না বিধবা সুরুতন বেওয়া। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বগুড়া যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। বুধবার (২৮ এপ্রিল) জেলা ও শহর যুবগলীগের একদল নেতাকর্মী উপজেলার হাটফুলবাড়ী পশ্চিম পাড়ার বিধবা সুরুতন বেওয়ার জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেন।
সুরুতন বেওয়া বলেন, অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছি। এতিমধ্যে জমির ধান কাটার উপযুক্ত হয়। এদিকে শ্রমিক না পাওয়ায় পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এছাড়াও এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে যুবলীগের নেতারা টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার ক্ষেতের ধান কেটে দেন। তারা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনও ভোলার নয়।
যুবলীগ নেতারা বলেন, প্রতি মৌসুমেই অন্য জেলা থেকে শ্রমিকরা বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটতে আসেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউনে অন্য এলাকার শ্রমিক আসতে পারেননি। এদিকে অসহায় বিধবা সুরুতন বেওয়া জমির পাকা ধান নিয়ে কাটতে না পেরে বিপাকে পড়েন। তার অসহায়ত্বের কথা শুনে আমরা তার ধান কেটে দিয়েছি। এ সংকটকালে প্রয়োজনে অন্যদের ধানও কেটে ঘরে তুলে দেবে যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
তারা বলেন, শুধু তাই নয় দেশজুড়ে ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় এবং মজুরস্বল্পতার কারণে বেশ কিছু অঞ্চলে কৃষকেরা পাকা ধান কাটতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় বাংলার দুঃখী অসহায় মানুষের শেষ ঠিকানা কৃষিবান্ধব নেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড বাংলাদেশ যুবলীগ বদ্ধপরিকর। আমরা নিজ নিজ এলাকায় কৃষকদের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাশে থেকে ধান কাটাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতার করে যাবো।
যুবলীগ নেতারা আরোও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আহ্বানে দেশের এই ক্রান্তিকালে সকল সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি সফল করতে যুবলীগ অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।
এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইছুল তোফায়েল কোয়েল, জেলা যুবলীগ নেতা বাপ্পি কুমার চৌধুরী, রাছেদুজ্জামান রাছেল, মীর রাজিবুল ইসলাম রাজন, তরিকুল ইসলাম তুষার, রবিউল ইসলাম রনি, শহর যুবলীগ নেতা রতন দাস, আব্দুর রাজ্জাক, শাহিন আলম ও খায়রুল প্রমূখ।
Leave a Reply