নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লামায় গলায় ফাঁস দিয়ে আলিফা বেগম (২৯) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খেদারবান পাড়ার মোঃ ফারুকের স্ত্রী।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় নিজ বসতঘর থেকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ নামায় নিহতের স্বামী মোঃ ফারুক ও পার্শ্ববর্তী এক নারী।
আলিফা বেগম লামা উপজেলার ফাইতং খেদারবান পাড়ার মো. মোশারফ হোসেন ও ফিরোজা পারভীনের মেয়ে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাটি রহস্যজনক উল্লেখ করে পার্শ্ববর্তী লোকজন বলেন, নিহতের স্বামী ও মা-বাবা বলছে কোন কারণ ছাড়া আলিফা বেগম ফাঁস লাগিয়ে মারা গেছে। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হচ্ছে। তারা আরো বলেন কোন কারণ ছাড়া একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে না। বরং আত্মহত্যার ঘটনাটি সাজানো কিনা তা পুলিশের তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্তে বেরিয়ে আসবে।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় মানুষ লামা থানা ও ফাইতং পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ কানন চৌধুরী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের বাড়িতে এসে লাশ উদ্ধার করে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষ করেন এবং লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি কানন চৌধুরী।
নিহত আলীফা বেগমের স্বামী মো. ফারুক বলেন, আমি গতরাত ৩টায় বাড়িতে এসে আলাদা রুমে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে আমার নানী শাশুড়ী কান্নাকাটিতে আমার ঘুম ভাঙ্গে। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার স্ত্রী নিজের রুমে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। পরে আমি ও পাশের এক মহিলা রশি কেটে তাকে ফাঁসি অবস্থা থেকে নামাই। আমার সাথে কোন ঝগড়াঝাটি হয়নি। কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বুঝতে পারছিনা।
নিহতের মা ফিরোজা পারভিন (৫০) বলেন, আমাকে সকাল সাড়ে ১০ টায় বাড়ি পার্শ্ববর্তী একজন কল করে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। আমি বাড়িতে এসে মেয়ের লাশ দেখি।
তিনি বলেন, কোন কারণ ছাড়া আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেনা। বিষয়টি নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বলা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
Leave a Reply