কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ উখিয়ার মাঠে মাঠে ভরা বোরো ধানের সোনালি ফসলে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। অনেক কষ্টের ফসল নিয়ে কৃষকের মাঝে যেমন আনন্দ বিরাজ করছে, তেমনি কালবৈশাখী ঝড় নিয়েও রয়েছে শঙ্কা
যদিও এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। যদি চলমান পরিবেশে ধান ঘরে তুলতে পারেন, তাহলে এ বছর অতীতের সব রেকর্ড ছড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ নুরুল আলম এই স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উখিয়ার ৫টি ইউনিয়নের ৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এতে এবার বোরো ধান আবাদে শীর্ষে রয়েছে রাজা পালং ইউনিয়ন। রাজাপালং ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, উপজেলার সবচেয়ে বেশি বোরো ধানের চাষ হয়েছে রাজা পালং ইউনিয়নে।
রাজাপালং ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামের খাল-কুড়, মাঠঘাট, বিল এবং পতিত জায়গায় ধানগাছগুলো সমানতালে পাক ধরে সোনালি ধানগুলো ঝুলছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসনজিৎ তালুকদার বলেন, কৃষক রয়েছেন ৪০ হাজার, ১৫ জন মাঠকর্মীর মধ্যে রয়েছেন ৮ জন। উখিয়ার কৃষকরা ধান ঘরে তোলার আগ মূহুর্তে কালবৈশাখীর মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়ে, তাহলে এ বছর বোরো ধানের আবাদে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
মাঠে মাঠে বোরো ধানে হাওয়ায় দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। সর্বত্রই পাকা ধানের সুগন্ধে কৃষকের মন ব্যাকুল হয়ে আসছে। মাঠজুড়ে বোরো ধানের চোখ জুড়ানো দৃশ্য কৃষকদের আনন্দে উদ্বেলিত করেছে। সারাদেশে মহামারি করোনাভাইরাস, পাতাপোড়া রোগ ও গরম বাতাসে ব্যাপক ক্ষতি হলেও নতুন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিনরাত পরিশ্রম করে ফসল ফলিয়েছেন। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা রয়েছে। তবে সময় মতো ধানকাটা শ্রমিক না পেলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকগণ। বোরোর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি এবছর ধান চালের দাম নিয়ে কৃষকদের মাঝে তেমন কোন শংকা নেই বরং তারা বেশ আশাবাদী
Leave a Reply