অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ ইউরোপের দেশ ইটালি’তে প্রথম যখন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল; পাশের দেশ স্পেনের মানুষ তখন ভেবেছিল- এটা ইটালির সমস্যা। তাদের কিছু হবে না। স্প্যানিশ’রা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এরপর একটা সময় দেখা গেলো ইটালির চাইতে স্পেনের অবস্থাই বেশি খারাপ হয়েছে!
ফ্রান্স যখন তাদের নাগরিকদের হাসপাতালে জায়গা দিতে পারছিল না। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ মারা যাচ্ছিলো; ঠিক তার পাশের দেশ ইংল্যান্ড তখন ভেবেছিল- এটা ফ্রান্সের সমস্যা। তাদের কিছু হবে না। ওরা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছিল কোন প্রস্তুতি ছাড়া।এর ঠিক দুই সপ্তাহ পর ইংল্যান্ডের অবস্থা ফ্রান্সের চাইতেও খারাপ হয়েছে। সেই ধাক্কা ইংল্যান্ড আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
অথচ সপ্তাহ দুয়েক আগে সতর্ক হয়ে যদি সঠিক প্রস্তুতি নিত; তাহলে হয়ত যেই পরিমাণ মানুষ এইসব দেশে মারা গিয়েছে তার অর্ধেক’কে বাঁচানো সম্ভব হতো।
ভারতে প্রতিদিন মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। হাসপাতাল গুলো অক্সিজেন দিতে পারছে না। দলে দলে মানুষ হাসপাতালের সামনে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। এইসব ভিডিও পুরো পৃথিবীতে এখন ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতের পাশের দেশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশিরা যদি ভেবে থাকি- আমাদের কিছু হবে না; তাহলে আমরা বোকার স্বর্গে বাস করছি।
আমেরিকার অবস্থা খারাপ হবার পর তার ঠিক পাশের দেশ মেক্সিকোর অবস্থা এখন এতোটাই খারাপ; ওরা মানুষের শেষকৃত্য করার জায়গা পর্যন্ত দিতে পারছে না।
ভাইরাস পরিস্থিতি যে দেশে’ই অনেক খারাপ হয়েছে; পরবর্তীতে তার পাশের দেশে এর প্রভাব হয়েছে তার চাইতেও ভয়াবহ। কারন তারা নিজেরা প্রস্তুত না হয়ে উল্টো অবহেলা করেছে!
সময় থাকতে আমাদের সতর্ক ও প্রস্তুত হতে হবে। অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। দরকার হয়- আলাদা করে কিছু টিম তৈরী রাখতে হবে জরূরী অবস্থা মোকাবেলায়।সর্বোপরি বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে।
এই ঢেউ যদি শেষ পর্যন্ত না আসে; তো বেশ ভালো আলহামদুলিল্লাহ্।তবে এই ঢেউ আসতে পারে তাই আমাদের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই
Leave a Reply