মোঃ সাইফুল্লাহ মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরার শ্রীপুরের একটি বিরোধীয় সম্পত্তি থেকে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগে আমতৈল গ্রামের আরিফুর ইসলাম পলাশের নামে একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রতিবেশী কাশেম মোল্যা।১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কুন্ডু সব্দালপুর ইউনিয়নের নায়েবকে সরেজমিন পাঠিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার আমতৈল গ্রামের কাশেম মোলার ছোট ভাই বিরু মোল্যার কাছ থেকে আড়াই বছর আগে কবলা দলিলমূলে চারটি দাগ থেকে ১০ শতক জমি ক্রয় করেন আরিফুল ইসলাম পলাশ। দলিলে ৪টি দাগ উল্লেখ থাকলেও প্রকৃত অর্থে পলাশ একটি দাগ থেকে ১০ শতাংশ জমি ভোগ দখলে নেন। কয়েকদিন আগে জমিতে থাকা দুটি রেন্টি কড়াই গাছ ৩৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেন এবং যথারীতি ক্রেতা গাছ কাটতে শুরু করেন। এ সময় কাশেম মোল্যা গাছ কাটার বিষয়টি প্রথমে থানায় এবং পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে এসিল্যান্ড পুলিশ পাঠিয়ে গাছকাটা বন্ধ করে দেন এবং রবিবার সকালে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে নায়েবকে সরেজমিন তদন্তের জন্য পাঠান।
লিথিত অভিযোগে কাশেম মোল্যা বলেন, তাঁর পিতার ৫ জন ছেলে সন্তান। তারমধ্যে একজন মৃৃৃত। এখন পর্যন্ত পৈতৃক সম্পত্তি কোনো প্রকার ভাগভাটোয়ারা হয়নি। কিন্তু আমার ছোট ভাই বিরু মোল্যা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির তার অংশটুকু বিক্রি করে দেয় প্রতিবেশী পলাশ খানের কাছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা কোনো কিছু জানিনা। বর্তমানে পলাশ আমাদের বাড়ির পাশে থাকা একটি জমি দখল করে সেটি তার বলে দাবি করছে এবং সেই জমির সকল গাছ সে বিক্রি করে লোক দিয়ে কেটে নিচ্ছে। সে যে যে দাগ থেকে জমি কিনেছে সেই সেই দাগে যাক। এ ব্যাপারে আমরা আইনের সহায়তা নিয়েছি।
এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম পলাশ বলেন, তার কাছে ১০ শতক জমি কাশেম মোল্যার ছোট ভাই বিরু মোল্যা বিক্রি করেছে। জমিটিতে আড়াই বছর আগেই কাশেম মোল্যাকে অবগত করে পিলার বসানো হয়েছে। এখন হঠাৎ তারা আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছে যা সম্পূর্ণ আমাকে হেনস্তা চেষ্টার পায়তারা ছাড়া কিছু না। আমার কাছে জমির উপযুক্ত প্রমাণদি দলিল পত্র রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমিই জমির মালিক।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমি উভয় পক্ষকে তাদের কাগজপত্র আনতে বলেছি।
পরবর্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে অবশিষ্ট গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে তিনি পরবর্তি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
Leave a Reply