অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার নির্দেশনা দিয়েছে ২০ জন মুসল্লি মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এই বিষয়ে মুসল্লিরা বলছেন—সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে, কিন্তু যে ব্যক্তি মসজিদে আগে ঢুকবে তাকে জায়গা দিতে হবে।
তা না করে মসজিদ কমিটি আগে থেকেই নাম লিপিবদ্ধ করে রেখেছে, কারা নামাজ পড়বেন। এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুসল্লিরা।
রামপুরা ওয়াপদা রোডে মসজিদে প্রথম তারাবির নামাজ পড়তে আগ্রহী এক মুসল্লি বলেন, আমার বয়স ৬৫ বছর। আমি ৪০ বছর যাবত জামাতে তারাবির নামাজ আদায় করছি। আমি সাধারণ মুসল্লি। এখন মসজিদে গিয়ে শুনছি মসজিদ কমিটি যাদের নাম লিপিবদ্ধ করে দিয়েছে, তারাই শুধু নামাজ পড়তে পারবে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই ব্যক্তি বলেন, ঠিক আছে আমরা সরকারের নির্দেশনা মানবো। কিন্তু মসজিদে যে আগে প্রবেশ করবে তাকে নামাজ আদায় করতে সুযোগ দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মাগরিবের নামাজের পরে রামপুরা, হাজীপাড়া, মালিবাগের বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে মসজিদের সামনে মুসল্লিদের এমন অভিযোগ করতে দেখা যায়।
মালিবাগের একটি মসজিদের এক খাদেম বলেন, আগেই নাম বুকিং হয়ে গেছে। ২০ জনের বেশি লোক নিয়ে নামাজ পড়ানো নিষেধ আছে সরকারের।
করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র রমজানে তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন বলে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনায় বলা হয়ে, মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নেবেন। তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন এবং জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা অংশ নেবেন।
Leave a Reply