অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মামলার কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ থাকলেও এখন থেকে শারীরিক উপস্থিতিতেই দেওয়ানি মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনস্থ আদালতসমূহেও মামলা দায়ের করা যাবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।এ বিষয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহ “আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০” এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারীকৃত এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক অতীব জরুরী দরখাস্তসমূহ শুনানী ও নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানী আদালতসমূহ এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনস্থ আদালতসমূহে মামলা দায়ের করা যাবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘দায়েরকৃত মামলায় সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট শারীরিক উপস্থিতিতে ফৌজদানী কার্যবিধির ২০০ ধারার অধীন জবানবন্দি গ্রহণ করবেন।’
গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে নিম্ন আদালতে বিচার কাজ বন্ধ ছিল। তবে জরুরী বিষয় শুনানির জন্য এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা রাখা হয়েছিল। শুধুমাত্র প্রতিদিনকার গ্রেপ্তার করা আসামিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলা ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ১২ এপ্রিল থেকেই জামিন আবেদন ও অতীব জরুরী ফৌজদারি বিষয় নিষ্পত্তি করতে ভার্চুয়ালি শুনানির জন্য সারা দেশে নিম্ন আদালত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শারীরিক উপস্থিতিতে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিলো- প্রাদুর্ভূত মহামারী (কোভিড-১৯) এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরী ফৌজদারী দরখাস্তসমূহ নিস্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’
এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
Leave a Reply